মিস্টার
অ্যান্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো জাহাজডুবি হয়ে কয়েক বছর
ধরে
একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আছে।একদিন ভোরে তারা দেখতে পেলো,সৈকতে এক সুদর্শন যুবক
অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ে নাবিকের পোশাক। সুস্থ হয়ে উঠে যুবক জানালো, তারও
জাহাজডুবি
হয়েছে। ওদিকে মিসেস ক্রুসো প্রথম দর্শনেই এই যুবকের প্রেমে পড়ে গেছে। কয়েকদিন পর
সুযোগ বুঝে ঐ যুবককে প্রেম নিবেদন করলো সে। কিন্তু রবিনসন আশেপাশে যতক্ষণ আছে,কোন
কিছু করবার সুযোগ তাদের নেই।নাবিক যুবক রবিনসনকে পরামর্শ দিলো,
সৈকতে
একটা ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক। সে আর ক্রুসো ওতে চড়ে পাহারা দেবে, জাহাজ
দেখতে
পেলে পতাকা দিয়ে সংকেত দেবে। ক্রুসোর বেশ মনে ধরলো বুদ্ধিটা। বাঁশ
দিয়ে
একটা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করলো তারা।পরদিন প্রথমে পাহারা দেয়ার পালা নাবিকের। সে
টাওয়ারে চড়লো,নিচে ক্রুসো আর তার বউ গেরস্থালি কাজ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরই যুবক চেঁচিয়ে
উঠলো, 'ছি, ক্রুসো ভাই! দিনে দুপুরেই ভাবীর ওপর এভাবে চড়াও হয়েছেন। ছি ছি ছি।'
ক্রুসো নারকেল কুড়োচ্ছিলো, সে বিব্রত হয়ে ওপরে তাকিয়ে বললো, 'কী যে বলো,
আমি
কোথায়, আর ও কোথায়!'
যুবক
চোখ কচলে বললো, 'ওহহো, দুঃখিত,আমার যেন মনে হলো ... সরি ভাই।' কিন্তু ঘন্টাখানেক
পর আবার চেঁচিয়ে উঠলো সে, 'না, এবার আর কোন ভুল নেই। কী ভাই,
একটু
অন্ধকার হতে দিন না! এভাবে জঙলিদের মতো সক্কলের সামনে ...ছি ছি ছি।'
ক্রুসো
আগুন ধরাচ্ছিলো, সে চটেমটে বললো, 'চোখের মাথা খেয়েছো নাকি ছোকরা, কী দেখতে কী
দেখছো!'
যুবক
খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নেড়ে লজ্জিতভাবে হাসলো। 'ইয়ে, দুঃখিত, কিন্তু মনে হলো
পষ্ট দেখলাম ...।'
কিছুক্ষণ
বাদে যুবকের পাহারা দেয়ার পালা শেষ হলো, এবার ক্রুসো চড়লো টাওয়ারে। কিছুক্ষণ
টাওয়ারে
পায়চারি করে ক্রুসোর চোখ পড়লো নিচে। সে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে আপনমনে বললো, 'আরে, কী
তামশা, ওপর থেকে দেখলে তো মনে হয়, সত্যি সত্যি নিচে ওরা ওসব কিছু করছে!'
No comments:
Post a Comment